এক নিম্ন মধ্যবিত্ত সংসারের কাহিনী। এই মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে হুমায়ূন যার ডাকনাম খোকা। যে এবার এমএসসি পরীক্ষা দিবে। তার ছোট বোন রাবেয়া, রুনু, ছোট ভাই মন্টু। আছে এই সংসারে বাবা, মা আর মাষ্টার কাকা। তবে এই মাষ্টার কাকা এ পরিবারের কেউ না। তবে তিনি বাইরের লোক হলেও এ পরিবারের সাথে এতোটাই ঘনিষ্ট যে কেউ তাকে দেখলে বুঝতেই পারবে না। এমনকি খোকা নিজেও ছোটবেলায় ভাবত তার বাবারই আপন ভাই হবে মাষ্টার কাকা। রাবেয়া হুমায়ূনের বড় বোন। তার মাথায় একটু সমস্যা আছে। কিন্তু টাকাপয়সার অভাবে বোনটাকে ভালো চিকিৎসা করাতে পারে না। রাবেয়া মেয়েটি সারাক্ষণ বাইরে ঘুরে বেড়ায়। কিছুটা উন্মাদ প্রকৃতির মেয়েটি। ছোট বোন রুনু। বয়স মাত্র ১৪ বছর। সে তার বড় ভাই খোকাকে ভীষণ ভালবাসে। তার খেলার সাথী পাশের বাসার শিলু। শিলুরা ভীষণ বড়লোক। শিলুই তার পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য। আর এই শিলুকেই খোকা মনে মনে পচ্ছন্দ করে। মন্টু খোকার ছোট ভাই। মাষ্টার কাকা ভাগ্য গণনা করতে পারেন। মন্টুর জন্মের ভাগ্য গণনা করে বলেছিলেন, মন্টু খুব সাহসী, বদমেজাজি এবং প্রেমিক পুরুষ।এই মাষ্টার কাকা আর মন্টু একসাথে রাতে ঘুমায়। মাষ্টার কাকা এখনো বিয়ে করেনি। হয়তো আর করবেনও না। এই পরিবারের ভীষণ বদরাগী হলেন বাবা। তাকে পরিবারের সবাই খুব ভয় পায়। আর মা হলেম সবচেয়ে সহজ-সরল একজন মানুষ। এ পরিবারে আরেকজন সদস্য ছিল। একটি কুকুরছানা। নাম পলা। মন্টু কুকুরছানাকে নিয়ে আসলেও রাবেয়া মন্টুর থেকে কিনে নেয়। রুনুর বান্ধবী শিলুর বড় ভাই হারুন রাবেয়াকে পচ্ছন্দ করে ফেলে এবং সে এটাও ঠিক করে রাবেয়াকে বিয়ে করবে। কিন্তু শিলুর মা রাবেয়ার থেকে বাচানোর জন্য হারুনকে নাহার নামের একটি মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দেন। এভাবেই চলে যাচ্ছিল দিন। কিন্তু হটাৎ একদিন রাবেয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। মাষ্টার কাকা সকালবেলা শহর থেকে বড় ডাক্তার আনেন। কাকা বাড়িতে আসার পরপরই মন্টু মাছ কাটার বটি দিয়ে কাকাকে কোপ মারে। পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায় মন্টুকে। তারপর? তারপরের কাহিনী লুকিয়ে আছে "নন্দিত নরক" বইটিতে। পাঠ প্রতিক্রিয়া: হুমায়ূন স্যারের এই বইটিতে ফুটে উঠেছে এক নিম্ন মধ্যবিত্তের সংসারের প্রতিচ্ছবি। যেখানে আছে সুখ, দুঃখ, স্বপ্ন সবকিছুই। বইটি পড়ার সময় চোখের কোনে আপনাআপনি ভিজে উঠে। বইয়ের প্রতিটা মুহূর্তই চোখের সামনে যেন জীবন্ত হয়ে যায়। খুব প্রিয় এবং অসাধারণ এই বইয়ের রেটিং করার দুঃসাহস আমি করতে পারলাম না। ভালো লাগার লাইন: মেয়েদের মানসিক প্রস্তুতি শুরু হয় ছেলেদেরও আগে। তারা তাদের কচি চোখেও পৃথিবীর নোংরামি দেখতে পায়। সে নোংরামির বড় শিকার তারাই। তাই প্রকৃতি তাদের কাছে অন্ধকারের খবর পাঠায় অনেক আগেই।
এক নিম্ন মধ্যবিত্ত সংসারের কাহিনী। এই মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে হুমায়ূন যার ডাকনাম খোকা। যে এবার এমএসসি পরীক্ষা দিবে। তার ছোট বোন রাবেয়া, রুনু, ছোট ভাই মন্টু। আছে এই সংসারে বাবা, মা আর মাষ্টার কাকা। তবে এই মাষ্টার কাকা এ পরিবারের কেউ না। তবে তিনি বাইরের লোক হলেও এ পরিবারের সাথে এতোটাই ঘনিষ্ট যে কেউ তাকে দেখলে বুঝতেই পারবে না। এমনকি খোকা নিজেও ছোটবেলায় ভাবত তার বাবারই আপন ভাই হবে মাষ্টার কাকা। রাবেয়া হুমায়ূনের বড় বোন। তার মাথায় একটু সমস্যা আছে। কিন্তু টাকাপয়সার অভাবে বোনটাকে ভালো চিকিৎসা করাতে পারে না। রাবেয়া মেয়েটি সারাক্ষণ বাইরে ঘুরে বেড়ায়। কিছুটা উন্মাদ প্রকৃতির মেয়েটি। ছোট বোন রুনু। বয়স মাত্র ১৪ বছর। সে তার বড় ভাই খোকাকে ভীষণ ভালবাসে। তার খেলার সাথী পাশের বাসার শিলু। শিলুরা ভীষণ বড়লোক। শিলুই তার পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য। আর এই শিলুকেই খোকা মনে মনে পচ্ছন্দ করে। মন্টু খোকার ছোট ভাই। মাষ্টার কাকা ভাগ্য গণনা করতে পারেন। মন্টুর জন্মের ভাগ্য গণনা করে বলেছিলেন, মন্টু খুব সাহসী, বদমেজাজি এবং প্রেমিক পুরুষ।এই মাষ্টার কাকা আর মন্টু একসাথে রাতে ঘুমায়। মাষ্টার কাকা এখনো বিয়ে করেনি। হয়তো আর করবেনও না। এই পরিবারের ভীষণ বদরাগী হলেন বাবা। তাকে পরিবারের সবাই খুব ভয় পায়। আর মা হলেম সবচেয়ে সহজ-সরল একজন মানুষ। এ পরিবারে আরেকজন সদস্য ছিল। একটি কুকুরছানা। নাম পলা। মন্টু কুকুরছানাকে নিয়ে আসলেও রাবেয়া মন্টুর থেকে কিনে নেয়। রুনুর বান্ধবী শিলুর বড় ভাই হারুন রাবেয়াকে পচ্ছন্দ করে ফেলে এবং সে এটাও ঠিক করে রাবেয়াকে বিয়ে করবে। কিন্তু শিলুর মা রাবেয়ার থেকে বাচানোর জন্য হারুনকে নাহার নামের একটি মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দেন। এভাবেই চলে যাচ্ছিল দিন। কিন্তু হটাৎ একদিন রাবেয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। মাষ্টার কাকা সকালবেলা শহর থেকে বড় ডাক্তার আনেন। কাকা বাড়িতে আসার পরপরই মন্টু মাছ কাটার বটি দিয়ে কাকাকে কোপ মারে। পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায় মন্টুকে। তারপর? তারপরের কাহিনী লুকিয়ে আছে "নন্দিত নরক" বইটিতে। পাঠ প্রতিক্রিয়া: হুমায়ূন স্যারের এই বইটিতে ফুটে উঠেছে এক নিম্ন মধ্যবিত্তের সংসারের প্রতিচ্ছবি। যেখানে আছে সুখ, দুঃখ, স্বপ্ন সবকিছুই। বইটি পড়ার সময় চোখের কোনে আপনাআপনি ভিজে উঠে। বইয়ের প্রতিটা মুহূর্তই চোখের সামনে যেন জীবন্ত হয়ে যায়। খুব প্রিয় এবং অসাধারণ এই বইয়ের রেটিং করার দুঃসাহস আমি করতে পারলাম না। ভালো লাগার লাইন: মেয়েদের মানসিক প্রস্তুতি শুরু হয় ছেলেদেরও আগে। তারা তাদের কচি চোখেও পৃথিবীর নোংরামি দেখতে পায়। সে নোংরামির বড় শিকার তারাই। তাই প্রকৃতি তাদের কাছে অন্ধকারের খবর পাঠায় অনেক আগেই।
No comments:
Post a Comment