Rumali by Humayun Ahmed, collected from net, Pages 276, PDF, 6.61 MB.
Download Bangla books in pdf form amarboi.com and also read it online.
'bangla-boi, boimela, humayun ahmed, bangla boi, ebook, bangla-ebook,
bangla-pdf, bangla book, bangla pdf, zafar iqbal, boi, bengali books
download, Rumali by Humayun Ahmed'
লেখক- হুমায়ূন আহমেদ। ধরন- রোমান্টিক, মনস্তাত্তিক, জীবনধর্মী। পৃষ্ঠা- ২৮০। প্রকাশনী- পার্ল পাবলিকেশন্স। প্রধান চরিত্র- রুমালী, মঈন খান, পাপিয়া, নীরা(মঈনের স্ত্রী), সাবিহা বেগম(রুমালীর মা), সেলিম, সোহরাব চাচা, মাওলানা। মেয়েটির নাম রুমালী। ডাক নাম বকু। এই নামেই মূলত তার মা আটত্রিশ বছর বয়সী সাবিহা বেগম ওকে ডাকে। সাবিহা বেগম একটু অন্যরকম মানুষ। তারমধ্যে বয়স কমানোর প্রবণতা বেশী। মেয়ের চেয়ে তারই সাজগোজের প্রবণতা বেশী। রুমালীর সাথে তাদের বাবার যোগাযোগ নেই। রুমালী অভিনয় করে। গল্পের আবর্তন ঘটেছে রুমালীর অভিনয় নিয়েই। রুমালীর মুভির নাম আমার আছে জল যাতে সে দিলুর রোল করছে। রুমালীর মুভির পরিচালকের নাম মঈন খান। তার বয়স চল্লিশ। রোগামতো, ফর্সা এক লোক। এই মঈন খানের প্রতি কিন্তু রুমালী প্রচন্ড রকমের দুর্বল। কিন্তু বুদ্ধিমতী রুমালী তা সহযে কাউকেই বুঝতে দেয় না। বাবা সংক্রান্ত একটা দুঃখময় অতীত থাকায় রুমালীকে তার মা সবসময় আগলে আগলে রাখেন। সেই আগলিয়ে রাখার একটি বিশেষ চেষ্টা হচ্ছে রুমালী যেনো কারো প্রেমে না পড়ে। কিন্তু কেনো প্রেমে পড়ার বেলায় এই বাধা? প্রেমে পড়তে তো কোনো দোষ নেই। তাহলে রুমালীর মার প্রেম সংক্রান্ত কোনো দুঃখময় অতীত আছে? সিনেমাতে রুমালী পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করছে। মূল চরিত্র পাপিয়া ম্যাডামের। পাপিয়া খুবই সুন্দরী একজন মহিলা। প্রতিটা সুন্দরী মহিলাই রহস্যময় হয়। সেটা বাস্তব হোক কিংবা পরাবাস্তব। পাপিয়াও তার ব্যাতিক্রম না। ঘটনাক্রমে শুটিংস্পটে শুটিং দেখতে এসে শুটিংয়ের কাজে জড়িয়ে পড়ে মিরাজ মাষ্টার নামক এক মাওলানা। সেও এই উপন্যাসে ভালো একটা ভূমিকা রেখেছে। শুটিংয়ের সময় পাপিয়াকে প্রায়শই কঠিন ব্যবহার করতে দেখা যায় রুমালীর সঙ্গে। কিন্তু কারনটা থাকে রহস্যময়। পরিচালক মঈন খানের সাথেও তার সর্ম্পক রহস্যের মাঝে আবদ্ধ। এদিকে দিন যতো যায় ততো রুমালীর দুর্বলতা বাড়ে তার পরিচালকের প্রতি। তিব্রভাবে তাকে ভালোবাসতে শুরু করে সে। এদিকে একটা বিশেষ ঘটনা ঘটে যায়। কাশবনে শুটিং পরবর্তী সময়ে হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি আসে। মঈনরা একটা পরিত্যক্ত বাড়িতে আশ্রয় নেয়। হঠাৎ তার ইচ্ছা হয় বৃষ্টিতে ভেজার। শুটিংয়ের কর্মীদের সেখানে রেখে সে বৃষ্টিতে ভিজতে বের হয়। অদ্ভুতভাবে তার সঙ্গীনী হয় রুমালী। ঠিক সেসময় সূর্য ডুবতে থাকে ও অন্ধকার নামতে থাকে। রুমালীর পায়ে কাটা ফুটে। সে মুর্হুতে মঈনের হাত ধরে তাকে হাটতে হয় এবং এক অদ্ভুত অনুভূতি তাকে গ্রাস করে। এই অনুভূতি জীবনের প্রথম প্রেমে প্রতিটা মানুষই পায়। সেসময় তারা একটা বাড়িতে আশ্রয় পায়। এটিও পরিত্যক্ত বাড়ি। সে বাড়িতে শুধু রুমালী ও মঈন। এরপর কি ঘটে? এদিকে মঈনের স্ত্রী শুটিং দেখতে আসে পরদিন। এবং সে এসেই জেনে নেয় ও বুঝতে পারে মঈনের ব্যাপারে রুমালীর মনোভাব। এরপর নীরা মঈনের এমনকিছু অতীত ও নিজের সাথে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা রুমালীকে বলে যারজন্য পাঠক অবশ্যই প্রস্তুত থাকবেন না। এই বই শুধু ভালোবাসার উক্তিতে ভরা। ভালোবাসা সর্ম্পকে অনেকরকম থিওরী এই বইতে লেখা হয়েছে। পাঠক নিজের অজান্তেই বিভিন্ন থিওরী দিয়ে নিজের প্রেমের সর্ম্পককে মেলাতে চাইবেন, যাচাই করতে চাইবেন। তবে পাঠক যদি তা করতে যান তাহলে নিজ সর্ম্পক নিয়ে খটকা খাবেন তা আগেই বলে রাখলাম। কারন থিওরীগুলো প্রায়শই পরস্পর বিরুদ্ধে গিয়েছে। খুব সুন্দর সাসপেন্সে ভরা একটা রোমান্টিক কাহিনী। উত্তম পুরুষে লেখা রুমালীর কথাবার্তা বেশ ভালো লাগে। ভালো তার মাকেও। বইটার একটা জাদুকরী প্রভাব পড়বে পাঠকের ওপর। ভালোবাসার সর্ম্পকে জানা আপনার জ্ঞানকে একটা ধাক্কা দেবে এই বই। মনের একটা দরজা খুলবে তো আরেকটা বন্ধ করবে। সেটা বন্ধ হলে আরেকটা খুলে দেবে। অদ্ভুত এক মনোখেলা খেলবে আপনার সাথে লেখক বইটার মাধ্যমে। বইয়ে প্রচুর ভালোবাসার সংঙ্গা থাকলেও তা একেকবার একেকরকম লাগবে। একবার এটাকে সঠিক মনে হবে তো এটা ভুল, এটা ভুল তো এটা সঠিক। দিনশেষে আসলে একটা সত্য ব্যাপার হচ্ছে ভালোবাসাও সবচেয়ে রহস্যময় উপাদানের মধ্যে একটি। এই অদৃশ্য উপাদান কেবল দৃশ্যমান হয় প্রীয় মানুষটার চোখে। বড় অদ্ভুত এই ভালোবাসা, যাকে নির্দিষ্ট কোনো সংঙ্গা দিয়ে সংঙ্গায়িত করা যায় না। যা দেখানো যায় না, প্রকাশ করা যায় না, স্পর্শ করা যায় না, কিন্তু প্রবলভাবে অনুভব করা যায়। সেই অনুভবের প্রচন্ডতা কাউকে স্বর্গের দুয়ারে নিয়ে যায়। আর কাউকে নিয়ে যায় কষ্টের অতলে।
No comments:
Post a Comment