Daarkaker Sangsar By Humayun Ahmed (দাঁড়কাকের সংসার কিংবা মাঝে মাঝে তব দেখা পাই) - Free Bangla Books Download Now

Thursday, September 15, 2011

Daarkaker Sangsar By Humayun Ahmed (দাঁড়কাকের সংসার কিংবা মাঝে মাঝে তব দেখা পাই)

amarboi.com

বই- দাড়কাকের সংসার কিংবা মাঝেমাঝে তব দেখা পাই। লেখক- হুমায়ূন আহমেদ। ধরন- কমেডি, জীবনধর্মী। প্রধান চরিত্র- লিপি, আহসান, লিপির বাবা, লিপির মা, কাজের বুয়া, লিপির মামা। গল্পটি লিপি নামক এক মেয়েকে কেন্দ্র করে যে লালমাটিয়া গালর্স স্কুলের দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। গরমের ছুটিতে সে সিদ্ধান্ত নিলো সে একটি উপন্যাস লিখবে। লিপিরা একটি ভাড়া বাসায় থাকে। তাদের বাসার মালিক আহসান সাহেবের প্রতি তার দুর্বলতা আছে। তবে তাদের মধ্যে বয়সের বিস্তর প্রার্থক্য। তবে লিপির জন্য তা কোনো ব্যাপারই না। যদিও লিপি জানে তার পরিবার কিছুতেই এটা মেনে নেবেনা। তবে কিভাবে তা মানাতে হবে সে আগেই তা ভেবে রেখেছে। আহসান সাহেব লিপির বাবার বন্ধু। তার বিন্দুমাত্র ধারনা নেই যে লিপি তার প্রতি আকর্ষিত হয়ে আছে। তবে লিপির প্রতি তিনি একটা আলাদা মায়া অনুভব করেন। এজন্য মাঝেমাঝে লিপিকে স্কুল থেকে আনার জন্য তিনি নিজের গাড়ি পাঠিয়ে দেন। লিপি কিছুটা অদ্ভুত টাইপের মেয়ে। তার কাজকর্ম অন্যান্য মেয়েদের চেয়ে আলাদা। যারফলে মাঝেমাঝে তার পরিবারের সদস্যদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এরকম এক পর্যায়ে দৃশ্যপটে হাজির হয় লিপির মামা। সে এসে লিপিদের বাসার একটা রুম দখল করে। কিছুদিন এখানে থাকবে বলে। লিপি লক্ষ্য করে তার মামা তাদের নানীর সমস্ত সম্পত্তি একাই মেরে দিচ্ছে। তার মায়ের জন্য কিছুই রাখছেনা। এছাড়া তাদের কাজের বুয়ার সাথেও তার মামার রাতের আলাদা সর্ম্পক তার নযরে পড়ে। লিপি তার মামাকে শায়েস্তা করার ব্যবস্থা নেয়। পাশাপাশি আহসান সাহেবকেও সে একটা পর্যায়ে পটিয়ে ফেলে। তবে এরপর লিপি কি করে? সে কি আহসান সাহেবকে বিয়ে করে? নাকি তার অল্প বয়সের মতিভ্রম কেটে যায়? তার মামাকেই বা সে কিভাবে শায়েস্তা করে? যারা লেখালেখি শিখতে চান তাদের জন্য কিন্তু এই বইতে সুন্দর কিছু টিপস উনি কৌশলে দিয়ে দিয়েছেন। শুরুতেই ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিয়েছেন, পড়লেই বুঝতে পারবেন। এছাড়া কাহিনীকে খুব সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। আমার দিক থেকে আমি বলবো এটা একটা কমেডী উপন্যাস। পড়া ধরার একটু পরপর খিলখিল করে হাসতে হয়েছে। আমার কাজিন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করতো অযথা হাসছিস কেনো? তাকে তো আর দীর্ঘ ব্যাখা দিতে পারছিনা কেনো হাসছি। যাহোক, যদি কারো মন খারাপ থাকে, বিষন্নতা ভর করে, কিংবা অনেকদিন হাসা হয়না তারা বইটা হাতে নিয়ে দেখতে পারেন। পুরোপুরি না হলেও কিছুক্ষনের জন্য মনটা হালকা হয়ে যাবে। পড়তে পড়তে মাঝেমাঝে এমন হাসি চলে আসে যে আশেপাশে কেউ থাকলে অবাক দৃষ্টিতে তাকায়। যে কেউ সানন্দে বইটা পড়তে পারেন। 


No comments:

Post a Comment