রফিক_এ উপন্যাস এর কেন্দ্রীয় চরিত্র।তার মা,বাবা কেউ নেই এতিম একটি ছেলে।বড় হয়েছে ও এতিমখানায়।এখন সে ইয়াসিন সাহেবের বাড়িতে থাকে। ইয়াসিন সাহেব এর মেয়ে শেফালিকে পড়ায়।ইয়াসিন সাহেবের একমাত্র মেয়ে #শেফালি_এই উপন্যাস এর নায়িকা বলা চলে। . রফিককে রাখা হয়েছে শেফালিকে পড়ানোরর জন্য।এদিকে শেফালীর সবসময় রফিককে নিয়েই চিন্তা করে ফলে পড়াশোনায় বেশ একটা মনোযোগ দিতে পারেনা। যার ফলে পরীক্ষায় ডাব্বা। অংকে একদম কাচা সে অপরদিকে রফিক যাকে বলা হয় অংকের জাহাজ। কঠিন কঠিন অংকগুলি মুখে করতে পারে তাও কিছু সেকেন্ডে।এ নিয়ে গ্রামের একটি স্কুলে আয়োজন করা হয় অংক অনুষ্ঠানের।তিনটি ব্লাকবোর্ড ভর্তি অংক। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন চেয়ারম্যান জনাব জালাল উদ্দিন এবং তার জামাতা ফরহাদ খান।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার লেকচারার।রফিক মাত্র দু মিনিট এ অংকের উত্তর দিয়েছিল। রফিক এর প্রতিভায় তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন।সারা গ্রামের মানুষ তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল। . রফিক আর শেফার ভালবাসার কথা যখন জানাজানি হয়ে যায় তখন শেফার বাবা উপায় না দেখে করে ভয়ঙ্কর এক প্লান।এই জীবনে রফিক জানেনা তার দুটি জীবন আছে কিন্তু অপর জীবনে সে বুঝতে পারে তার দুটি জীবন আছে। আর বুঝতে পারে বলেই তাকে নিয়ে বিজ্ঞানীরা করছে ভয়ঙ্কর সব এক্সপেরিমেন্ট। . অপর জীবনে তার নাম রেফ সে চার বছর ধরে মানসিক রোগী।শেফ নামে এক কম্পিউটার তার দেখাশুনা করে।তাকে নিয়ে গবেষণা করছেন #এমরান_টি এর মতে বিজ্ঞানী। যিনি বিজ্ঞান কাউন্সিল এর প্রধান। তাকে নিয়ে বিজ্ঞানীরা করছে ভয়ঙ্কর সব এক্সপেরিমেন্ট। যাদের উদ্দেশ্য রফিকের অপর জীবনটাকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানেরই উন্নতি সাধন করা। এভাবেই এগোয় কাহিনী। . কিভাবে সে #রফিক থেকে #রেফ হয়ে যায়? তা রফিক জানতে পারবে? আর জানলেও সে কিভাবে এর থেকে মুক্তি লাভ করবে? সেগুলো জানতে হলে পড়তে হবে ওমেগা পয়েন্ট নামে এই বইখানা। . #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ ওমেগা পয়েন্ট মূলত একটা অবস্থান।হুমায়ূন আহমেদ এর মতে এটা শুধু জটিল বিষয় বললে ভুল হবে -- একেবারে বেড়াছেড়া লেগে যাবার মতো জটিল।তিনি আরো বলেন,পাঠকের কাছে অনেক তথ্যই উদ্ভট লাগতে পারে। সত্যি তাই, বইয়ের প্রায় মাঝামাঝি জায়গায় আসা পর্যন্ত যে কোন পাঠক ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারবেন না যে এটি একটি সাইন্স ফিকশন বই। মনে হবে কোন প্রেমের উপন্যাস।চমৎকার একটি বই। পড়ে দেখতে পারেন.....
No comments:
Post a Comment