হিমুকে নিয়ে লেখা হুমায়ুন আহমেদের অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাস ‘আঙুল কাটা জগলু’। মেঘেদের মন মেজাজ আছে। তারা রহস্য করতে পছন্দ করে। অনেক সময় দেখা যায় ঘন কালো মেঘে চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসচ্ছে যেকোন মুহূর্তে বৃষ্টি নামবে কিন্তু তখন আর বৃষ্টি হয় না। আমার দেখা যায় ঝলমলে রোদে ভোরা আকাশ কিন্তু হুট করে তখন কোথা থেকে মেঘ এসে ঝুপ করে একপশলা বৃষ্টি এসে পরে। আষাঢ়ের শেষ কিংবা শ্রাবণের কোন একদিন, সন্ধ্যা হবে হবে এমন এক সময় হিমু দাঁড়িয়ে আছে ফুলবাড়ি বাস টার্মিনালের নর্দমার ডান পাশে। হিমু সেখানে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছে।আকাশ মেঘে মেঘে অন্ধকার হয়ে গিয়েছে, যে কোন সময় বৃষ্টি নামবে।এমন সময় মতি নামের একজন এসে বলল আঙুল কাটা জগলু ভাই তাকে ডাকছে। আঙুল কাটা জগলু ভাই অতি পরিচিত ব্যক্তি।পত্রিকার ভাষায় শীর্ষ সন্ত্রাসী। বাংলাদেশ সরকার তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে।সন্ত্রাসী হলেও উনি শিক্ষিত। ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রী পাওয়া মানুষ। তাঁর পড়াশুনা ইংরেজি সাহিত্যে।আঙুল কাটা জগলু নাম হলেও তার সব আঙুল ঠিক আছে।শুধু ঠিক না বেশ ভালো মত ঠিক আছে।লম্বা লম্বা আঙুল। মানুষটার চোখ সুন্দর,চেহারা সুন্দর।মাথা ভর্তি চুল।---হিমু বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় চরিত্র। হিমু একজন বাউন্ডুলে ধরনের যুবক।বয়স ২৫-৩০ বছরের মধ্যে। তার পোশাক ও গেট-আপ কিছু কিছু মানুষের কাছে বিরক্তিকর । সে খুব একটা সুদর্শন না কিন্তু তার চোখ ও হাসি খুব সুন্দর হিমু চরিত্রের আসল নাম হিমালয়। এ নামটি রেখেছিলেন তার বাবা। যার বিশ্বাস ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা যায় তবে একইভাবে মহাপুরুষও তৈরি করা সম্ভব। তার মহাপুরুষ তৈরির বিদ্যালয় ছিল যার একমাত্র ছাত্র ছিল তার সন্তান হিমু। উপন্যাসে প্রায়ই তার মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রকাশ দেখা যায়। যদিও হিমু নিজে তার কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা স্বীকার করে না। হিমুর আচার-আচরণ বিভ্রান্তিকর। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করে, এবং এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হিমুর অত্যন্ত প্রিয় একটি কাজ....
No comments:
Post a Comment