
রিভিউ লেখার আগে একবার বরং ভেবে নিই হিমু যদি ডুবন্ত লঞ্চে থাকে তখন সে কি করবে? তার সাথে আছে একজন নারী, তৃষ্ণা যার প্রতি হিমুর কিঞ্চিৎ মায়া জন্মেছে, একজন পীর হুজুর আছেন যিনি ফাঁসির আসামী তার সাথে তার জীন কফিল। আরেকজনের নাম আতর। ব্যক্তিগতভাবে আমার মতে হিমু তৃষ্ণাকে মোটেই সাহায্য করবেনা। আতরকে সে উদ্ধার করতে পারে আর পীর কুতুবী কে সে ছেড়ে দিবে জীন কফিলের হাতে। যাহোক, প্রকাশকের কথায় বলা ছিল, 'হিমুর আছে জল' লেখার শেষাংশ নাকি পাঠকের উপর নির্ভর করে। সেই অংশই কেবল দিলাম আমি ... কাহিনী সংক্ষেপ . ঢাকা থেকে বরিশাল যাচ্ছে একটি লঞ্চ। লঞ্চে রয়েছে উঠতি পরিচালক। যারা পারলে লঞ্চেই অভিনয় শিল্পী খোঁজা শুরু করে, আছেন ফাঁসির আসামী পীর কুতুবি, যাকে পুলিশি প্রহারায় ঢাকা কারাগার থেকে বরিশাল কারাগার নেয়া হচ্ছে। সেই সাথে আন্ডারওয়ার্ল্ড সন্ত্রাসী আতর মিয়া, একজন মাইক্রোবায়োলজি প্রফেসরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়, যিনি মূলত এসেছেন ছাত্রীর সাথে। আর আছে প্রবাসী তৃষ্ণা এবং অবশ্যই আমাদের চিরচেনা হলদে হিমু। সাধারণ ঘটনা অসাধারণ করে নেয়ার প্রতিভা নিয়েই বাংলা সাহিত্যে এসেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ স্যার। ম্যাচের কাঠিতে কান খোঁচালে কাঠি ভেঙে যেতেই পারে কিংবা লঞ্চে থাকা যেকোন প্রফেসর উচ্চবাচ্য করে নিজের পরিচয় দিতে পারেন। এসব সাধারণ কিছু ঘটনাকেই নিজের চেনা ঢঙে রাঙিয়ে নিয়েছেন আমাদের স্যার হুমায়ূন। পুরো বইজুড়ে আছে তার অনুপম শব্দ বুনন আর উপস্থিত বুদ্ধি সাথে কৌতুকরসের সর্বোচ্চ ব্যবহার। একেবারে ১০ এ ১০ .... পাঠ প্রতিক্রিয়া - নিতান্ত আনুষ্ঠানিকতার জন্য এই অংশ। এক কথায় বলতে হলে বলা যায়, একজন অসাধারণ মানুষের অসাধারণ কর্মের ব্যাখ্যা কখনোই দেয়া যায়না। একটা লঞ্চে রাজনীতি, সন্ত্রাসিক কাজকর্ম, গণ আদালতি সবকিছু মিলিয়ে আমাকে পূর্ণ তৃপ্তি দিয়েছে এই বইটি।
No comments:
Post a Comment