বাংলা সাহিত্যে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হুমায়ন আহামেদ। তার লেখা অসংখ্য উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে আছে। হুমায়ন আহমেদের লেখনী গুলো সব সময় পাঠকদের মনে দাগ কাটে। তিনি সব সময় বাস্তব ধর্মী ও মানুষের জীবন গাঁথাকে অনেক সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করে তুলেন তার লেখুনীতে। তার এক অনন্য সৃষ্টি হিমু চরিত্র। হিমু নামের এই অদ্ভুত চরিত্রের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন সমাজের বিভিন্ন দিক। হিমুর বৈশিষ্ট্য অন্য রকম অনেক অদ্ভুত। সে সতন্ত্র ব্যাক্তিত্বের অধিকারি সে সব সময় যুক্তি বিরোধী মতানুসারে আচরন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে তুলে। তার কোন লোভ লালসা, হিংসা, ভয়, কিছুই নেই। তবে সে বেশ বুদ্ধিমান ও রসবোধ সম্পন্ন। বাউন্ডলে জীবন যাপন করেও সবসময় তিনি মানুষের উপকারে চলে আসেন । মোটামুটি ভাবে বলতে গেলে আমি হিমু সিরিজের বেশ ভক্ত। হলুদ পাঞ্জাবী পড়া এই চরিত্রটি আমার কাছে বেশ অর্থ বহ মনে হয়। হিমু সিরিজের " সে আসে ধীরে" নামক উপন্যাস পড়লাম।বইটির কাহিনী সংক্ষিপ্ত বলতে গেলে হিমুর খালার এক অষ্টেলিয়া প্রবাসী নি:সন্তান বান্ধবীর জন্য দত্তক ছেলে লাগবে। যেনতেন ছেলে হলে চলবে তার বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা লাগবে। হিমুর খালা হিমুকে দায়িত্ব দেওয়ার পর হিমু তার পরিচিত এক পরিবারের ছেলেকে সিলেক্ট করে। নিম্নবিত্ত পরিবারটির জীবন চিত্র ফুটে উঠছে গল্পটির মধ্যে। ছেলেটির মা বেশ অসুস্থ সুস্থ করার জন্য বেশ কিছু টাকা লাগবে যা ছেলেটির বাবার কাছে সম্ভব নয়। ছেলেটিকে দেখার পর তার খালার বান্ধবীর পছন্দ না হলেও কিছুক্ষণ কাছে রাখার পর সে ছেলেটির মায়ায় জড়িয়ে পড়ে। নানা রকম ঘটনা চলতে থাকে কাহিনী তারপর একসময় হিমুর খালার বান্ধবী জানতে পারেন যে তিনি মা হতে পারবে। হিমুকে তিনি উপহার দিতে চান কিন্তু হিমুর চাওয়া হয় শিশুটির মাকে সুস্থ করার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যাবস্থা করা।বইটি বেশ কিছু মজার ঘটনা ও তুলে ধরেছেন হুমায়ন আহামেদ যা অনেক ভাল লাগে।উচ্চবিত্ত পরিবার ও নিম্নবিত্ত পরিবারের জীবনযাপন অনেকাংশ ফুটে উঠে এই বইটিতে। বইটির গল্প আহামরি না হলেও কেমন যেন একটা টান অনুভব হয় পড়তে গিয়ে। পাঠকদের বলব হুমায়ন আহামেদের বই যারা পড়েন তাদের জন্য উপহার সরুপ গল্প এটি। তাই বলব মিস করবেন না পড়লে। আশাকরি আপনাদের কাছেও ভাল লাগবে।
No comments:
Post a Comment