টেলিপ্যাথি করে কখনো কাউকে ডেকেছেন? কি অদ্ভুত না? একজন মানুষের সাথে শুধুমাত্র মস্তিষ্ক দিয়ে ডেকে আনা যায়! জহির এভাবে হিমুকে ডাকত। জহিরের সমস্ত ভাব হিমুর সাথে। ফুলফুলিয়া নামের যে মেয়েটিকে জহির বিয়ে করতে চায় তার সব কথাই সে শুধু হিমুকে বলে। জহির খুব ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র হলেও কিছু কিছু উদ্ভট চিন্তা তার মাথায় আসে। এই মুহূর্তে তার মাথায় ফুলফুলিয়া ছাড়াও আরেকটি চিন্তা আছে। সেটি হচ্ছে একটা কফিশপ দেয়া যার নাম হবে ‘কফিতা’। বিভিন্নভাবে জহির এই কফিতা শুরু করার চেষ্টায় থাকে। এদিকে জহিরের মা হিমুকে বলে দেন ফুলফুলিয়াকে জহিরের জীবন থেকে বিদায় করার জন্য। হিমু দেখা করতে যায় ফুলফুলিয়ার সাথে। সেখানে গিয়ে তার বাবার সাথে হিমুর পরিচয় হয়। তিনি একজন ব্যাঞ্জ বাদক। হিমু এক ধরণের আকর্ষণে পরে যায়। ঘটনা প্রবাহিত হতে থাকে ভিন্ন খাতে। এদিকে জহির পরীক্ষা না দিয়ে বের হয় হাঁটার উদ্দেশ্যে। ছয় মাস সে শুধু হাঁটার পরিকল্পনা করে। এত চরিত্রের মাঝে একটা অদ্ভুদ চরিত্র চলে আসে যা হল একটি গাছ। রাধাচূড়া গাছ। আচ্ছা গাছ কি করে চরিত্র হয়? জহির, ফুলফুলিয়া আর রাধাচূড়া- এদের নিয়ে বাকিসব জানতে হলে পড়তে হবে হুমায়ূন আহমেদের লেখা খুব জনপ্রিয় বই ‘চলে যায় বসন্তের দিন’। পড়া না হয়ে থাকলে আজই সংগ্রহ করে ফেলুন! পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ হিমু থাকবে অথচ মানুষের ভালোবাসা পাবে না এমন হয়? যথারীতি বইটি পড়ার সময় কখনো হাসছিলাম, কখনো অবাক হচ্ছিলাম। হিমুকে বরাবরই পড়তে গেলে আপন আপন লাগে। মনে হয় যে কথাগুলো আমি বলতে পারছি না সেগুলো হিমু বলে দিচ্ছে! এই গল্পে ফুলফুলিয়াকে আমার খুব ভাল লেগেছে,সাথে জহিরকেও। সত্যি বলতে জহিরের ভাবনার মত আমারও একটা ‘কফিতা’ দিতে ইচ্ছে করছে! হিমু শুধু হলুদ পাঞ্জাবী পরে ঘুরে বেড়ালেও সে যে আমাদেরকে কতটা রঙিন ভালোবাসা দিয়ে যায় তা কি সে জানে? জানতে পারবে কখনো?
No comments:
Post a Comment